বাংলাদেশ থেকে পেপাল একাউন্ট খোলার নিয়ম
যেহেতু এই বছরের ডিসেম্বর মাসে পেপাল চালু হওয়ার কথা রয়েছে তাই পেপাল বাংলাদেশে চালু হওয়া মাত্রই আপনাদের একাউন্ট খোলার নিয়ম এই পোষ্টে জানিয়ে দেওয়া হবে। সম্ভবত ১৬ই ডিসেম্বর ঘোষণা আসতে পারে।কেননা এই ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবস।
পেপাল কি?
পেপ্যাল একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান যারা অর্থের স্থানান্তর বা হাতবদল ইন্টারনেটের মাধ্যমে করার ক্ষেত্রে সহায়তা দিয়ে থাকে। অনলাইন স্থানান্তরের এই পদ্ধতি গতানুগতিক অর্থের লেনদেনের পদ্ধতি যেমন চেক বা মানি অর্ডারের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
পেপালের ইতিহাস
পেপ্যালের বর্তমান প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি হয় ২০০০ সালে কনফিনিটি এবং এক্স ডট কমের একত্রীকরণের মাধ্যমে [১০] ম্যাক্স লেভচিন, পিটার থিয়েল এবং লুক নসেক ১৯৯৮ সয়ালে কনফিনিটি স্থাপন করেন মূলত পাম পাইলটের আর্থিক লেনদেন সুবিধা ও গুপ্তসঙ্কেত সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে।[১১] এলন মাস্ক ১৯৯৯ সনে এক্স ডট কম চালু করেন অনলাইন আর্থিক প্রিসেবা প্রতিষ্ঠান হিসেবে।
এক্স ডট কম ও কনফিনিটি উভয়েই ১৯৯৯ সনের শেষভাগে তাদের ওয়েবসাইট চালু করে [১২] উভয় প্রতিষ্ঠানই পালো আলটোর ইউনিভার্সিটি এভিনিউতে অবস্থিত ছিল। কনফিনিটির ওয়েবসাইট পাম পাইলট থেকে পাঠানো অর্থপ্রদান মিলনসাধন করার ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে ফোকাস করা হয়ে ছিল।[
১৩] এবং এক্স ডট কম ওয়েবসাইটে একটি বৈশিষ্ট্য হিসেবে ই-মেল অর্থপ্রদানের সঙ্গে একটি বৈশিষ্ট্য হিসেবে ই-মেল অর্থপ্রদানের সঙ্গে আর্থিক পরিষেবা প্রাথমিকভাবে যুক্ত ছিল।
কনফিনিটির অধিকাংশ প্রাথমিক নিয়োগপ্রাপ্তরা ছিলেন দি স্ট্যানফোর্ড রিভিউ র সদস্য, যেটিও পিটার থিয়েল শুরু করেছিলেন, আর কম্পিউটার প্রকৌশলীদের অধিকাংশই ছিলেন ইউনিভার্সিটি অফ আরবানা শ্যামপেনএর প্রাক্তন ছাত্র,
যাদের নিয়োগ দিয়েছিলেন ম্যাক্স লেভচিন। অপর দিকে এক্স ডট কম এর দিকে ইলন মাস্ক বিভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রযুক্তি ও ব্যবসা
অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রার্থীদের নিজের প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেন যাদের অবদান প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যেমন এমি ক্লেমেন্ট, সাল গিয়ামবাঞ্চো, রোয়েলফ বোথা [১৪]সেকুইয়া ক্যাপিটাল থেকে, সঞ্জয় বারগাভা এবং জেরেমি স্টপেলম্যান।
[১৫] স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম কর্তৃক প্রতারণামূলক ব্যবহার ঠেকানোর জন্য পেপ্যাল একটি পদ্ধতি ব্যবহার করে (দেখুন ক্যাপচা) যেখানে ব্যবহারকারীকে একটি অস্পষ্ট ছবি দেখে তার শব্দটি সিস্টেমে প্রবেশ করাতে হয়। তার এই পদ্ধতির নাম দেন গসব্যাক-লেভচিন পরীক্ষা।
[১৬] ই-বে এর অনলাইন অর্থপ্রদানের পরিমাণ বৃদ্ধি হওয়া পর্যবেক্ষণ করেছিল এবং অনলাইন নিলাম করার সঙ্গে একটি অনলাইন অর্থপ্রদান পদ্ধতির উপযোগীতা অনুভব করেছিল।
ই-বে ১৯৯৯ সালের মে মাসে বিলপয়েন্ট কে কিনে নেয়, তখনো পেপ্যালের জন্ম হয়নি। ই-বে বিলপয়েন্টকে তাদের আনুষ্ঠানিক ভাবে অর্থপ্রদান পদ্ধতি হিসেবে অনুপ্রবেশ করায়, " ই-বে পেমেন্টস " নামে।
কিন্তু শুধুমাত্র ই-বেতে নিলাম করার জন্য কেবল অর্থপ্রদানে এর কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রেখে এর অবস্থান অনেক সীমাবদ্ধ করে ফেলে। এই কারণে অনেক বেশি সংখ্যক নিলাম পেপ্যালের মাধ্যমে তালিকাভূক্ত হয় বিলপয়েন্ট ব্যবহার না করে।
এই বিষয়ে আরও পড়ুনঃ Paypal
২০০০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রতিদিন পেপ্যালের মাধ্যমে প্রায় ২০০,০০০০ নিলাম তালিকাভূক্ত হত আর বিলপয়েন্টের মাধ্যমে মাত্র ৪০০০। [১৭][১৮][১৯] ২০০০ সালের এপ্রিল মাস্র মধ্যে ১০ লক্ষের বেশি নিলাম পেপ্যালের মাধ্যমে তালিকাভূক্ত হওয়া শুরু হয়।[২০]পেপ্যাল তাদের সমস্যা কাটিয়ে উঠে ১১ই সেপ্টেম্বরের হামলার পরে প্রথম ডট-কম কোম্পানী হিসেবে আইপিও বাকি থাকে নাই।
সূত্রপেপাল
পেপাল কি?
পেপাল এর সুবিধা কি?
অনলাইনে অর্থ আদান-প্রদান এবং কেনাকাটার বিল পরিশোধ করার জনপ্রিয় মাধ্যম পেপাল। ইলন মাস্ক হলেন পেপাল এর অন্যতম সহপ্রতিষ্ঠাতা। বর্তমানে ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থায় রীতিমতো নেতৃত্ব দিচ্ছে পেপাল (বা পেপ্যাল)।
কিন্তু আমাদের দেশে অনেকেই জানেন না যে পেপাল কি এবং এর উপকারিতা। কারণ বাংলাদেশেপেপ্যাল এখনো পর্যন্ত তাদের সেবা দেয়া শুরু করেনি। হয়ত আগামী মাস দুয়েকের মধ্যে বাংলাদেশেও চলে আসবে পেপ্যাল।
বিশ্বের ২০০টির অধিক দেশের ৩৬০ মিলিয়নের বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে পেপাল এর। শুধুমাত্র ২০২০ সালের তৃতীয় প্রান্তিকেই ৪ বিলিয়ন লেনদেন সম্পন্ন করেছে পেপ্যাল।
১৯৯৮ সালে যাত্রার শুরু থেকেই অনলাইনে কেনাকাটা ও অর্থ আদান-প্রদানের এক নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে পেপাল।
অনলাইনে পে করার ক্ষেত্রে চিরাচরিত ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের পরিবর্তে খুব সহজেই পেপ্যাল ব্যবহার করা যায়। চেক বা ওয়্যার ট্রান্সফার সার্ভিসের ভোগান্তি দূর করতে অনন্য ভূমিকা রেখেছে পেপাল।
যেকেউ বিনামূল্যে পেপ্যাল অ্যাকাউন্ট খুলে তাদের ব্যাংক একাউন্ট, ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ড টাকা পাঠানোর উদ্দেশ্যেপেপ্যাল একাউন্টে যুক্ত করতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক জনপ্রিয় অনলাইন পেমেন্ট ব্যবস্থা, পেপাল সম্পর্কে বিস্তারিত।
পেপাল কি – What is PayPal in Bangla
পেপাল একটি অনলাইন পেমেন্ট ব্যবস্থা, যা আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি। পেপাল মূলত একটি আমেরিকান বহুজাতিক কোম্পানি যেটি প্রযুক্তির মাধ্যমে আর্থিক সেবা প্রদান করে।
পেপ্যাল এর মাধ্যমে অনলাইনে টাকা পাঠানো/খরচ করা যায় ও গ্রহণ করা যায়।
ব্যাংক একাউন্ট, ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ড PayPal একাউন্ট এর সাথে যুক্ত করলেপেপ্যাল ব্যবহার করে ব্যাংকের অর্থ দিয়েই পেপাল সাপোর্টেড স্টোর থেকে কেনাকাটা করা আয়।
ব্যাংক ও মার্চেন্টের মধ্যে মিডলম্যান হিসেবে কাজ করে পেপাল। এছাড়াও পেমেন্ট তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পেপাল।
বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের সদস্যদের পেপ্যাল ব্যবহার করে টাকা পাঠানোর পাশাপাশি অন্যদের থেকে টাকা রিসিভ ও করা যায় সেবাটির মাধ্যমে। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে এসব ফিচার ব্যাপক উপকারে আসে।
পেপাল ক্রেডিট – PayPal Credit
পেপাল ক্রেডিট পেপাল দ্বারা চালিত একটি ওপেন-এন্ড ক্রেডিট সার্ভিস একাউন্ট। তবেপেপ্যাল ক্রেডিট কিন্তু বাস্তব কোনো ক্রেডিট কার্ড নয়।
যেসব জায়গায় পেমেন্ট মেথড হিসেবে পেপাল ক্রেডিট সাপোর্ট করে, সেখানে পেপাল ক্রেডিট ব্যবহার করা যাবে। ক্রেডিট কার্ডের মত পেপাল এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন ফি প্রযোজ্য।
অর্থাৎ পেপ্যাল ক্রেডিট একটি ভার্চুয়াল ক্রেডিট কার্ডের মত কাজ করে, যা শুধুমাত্র পেপাল সাপোর্টেড পেমেন্ট পয়েন্টসমূহে ব্যবহার করা যায়।
পেপ্যাল ক্যাশ – PayPal Cash
২০১৯ সালে পেপাল ক্যাশ নামে আলাদা এই ফিচারটি চালু করে পেপাল। পেপালে থাকা সকল অর্থকে একসাথে পেপাল ক্যাশ বলা হয়।
যখন কেউ আপনাকে পেপালে টাকা পাঠাবে, আপনি চাইলে তা PayPal ক্যাশ একাউন্টে রাখতে পারেন কিংবা ব্যাংকে ট্রান্সফার করতে পারেন।
পেপাল ক্যাশ একাউন্টে থাকা অর্থ পরিবার বা বন্ধুদের পাঠানো যাবে কোনো ধরনের ব্যাংক একাউন্টের মধ্যস্থতা ছাড়াই।
এছাড়াও গুগল পে ও স্যামসাং পে এর মত অনলাইন পেমেন্ট সার্ভিস থেকেও পেপাল ক্যাশ ব্যালেন্স নেওয়া যায়।
পেপাল বাংলাদেশে কবে আসবে?
বাংলাদেশে শীঘ্রই চালু হতে যাচ্ছে অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম, পেপ্যাল। চলতি বছরের মধ্যে পেপাল বাংলাদেশে চালু হতে পারে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
পেপাল কিভাবে কাজ করে – PayPal Explained in Bangla
দুইজন ব্যক্তি যারা নিজেদের মধ্যে অর্থ আদান-প্রদান করতে চান, তাদের মধ্যকার সার্ভিস প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে পেপাল।
এটি ব্যবহার করে বন্ধু ও পরিবারকে কোনো আলাদা চার্জ ছাড়াই টাকা পাঠানো যায়। কোনো সার্ভিস বা কেনাকাটায় পেপ্যাল ব্যবহার করতে সেক্ষেত্রে একটি ছোট অংকের ফি প্রযোজ্য হয়।
ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য সাধারণ পেপাল একাউন্ট যথেষ্ট। তবে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হলে পেপ্যাল বিজনেস একাউন্ট খুলতে হয়। ব্যক্তিগত একাউন্ট ব্যবহার করে পেপাল পেমেন্ট নেওয়া গেলেও বিজনেস একাউন্টে থাকছে আলাদা সুবিধা।
☞ ♦
আউটসোর্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং এর পার্থক্য কি?
ব্যক্তিগত ও বিজনেস, উভয় অ্যাকাউন্টের সকল লেনদেন এর ক্ষেত্রে ফ্রড প্রটেকশন, উন্নত নিরাপত্তা ও এনক্রিপশন সুবিধা প্রদান করে পেপ্যাল।
ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে রিওয়ার্ড প্রদান করে পেপাল। ক্রেডিট কার্ড এর মাধ্যমে পেমেন্ট এর ক্ষেত্রে যেমন রিওয়ার্ড পাওয়া যায়, ঠিক তেমনই পেপাল এর মাধ্যমে লেনদেনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রিওয়ার্ড ও অফার পাওয়া যায়।
এছাড়াও ক্রেডিট কার্ড পেপাল একাউন্টের সাথে যুক্ত করে ব্যবহার করলেও সেক্ষেত্রে পেপাল রিওয়ার্ড পাওয়া যায়।
একের ভেতর সব
আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি ব্যাংক একাউন্ট, ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড যুক্ত করা যায় পেপাল অ্যাকাউন্টে। এর ফলে পেপাল থেকেই সব লেনদেন করা যায় ঝামেলা ছাড়াই। এছাড়াও বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই পেপাল পেমেন্ট সাপোর্ট রয়েছে, যার ফলে পেপালকে একটি ইউনিভার্সাল ওয়ালেট ব্যবস্থা বলা চলে।
অসুবিধা
সুবিধার পাশাপাশি সকল জিনিসের অসুবিধা থাকে। পেপাল ও তার ব্যতিক্রম নয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক পেপাল এর কিছু অসুবিধা সম্পর্কে।
ভিডিওঃ
0 Comments