বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
আসসালামু আলাইকুম কেমন আছো তোমরা আশা করি আল্লাহর তায়ালার রহমতে অনেক ভালো আছো ইনশাআল্লাহ।
আমরাও আল্লাহ তায়ালার রহমতে অনেক ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ।
এখন রমজান মাস চলতেছে তাই তোমাদের জন্য নিয়ে আসলাম একটা ইসলামিক মাসায়ালা, "যেটি নাম হচ্ছে, কৃষি জমি অন্যের কাছে থেকে বন্ধুক রাখা জায়েজ কিনা।
এটা মূলত একটা গুরুত্বপূর্ণ ইসলামিক প্রশ্ন যেটার উত্তর আমাদের দেওয়া উচিত না তবে, আমরা যতটুকু জানি সতোটুকু তোমাদের মাঝে শেয়ার করতেছি, তোমরা আরও বিস্তারিত জানার জন্য আদর্শবান প্রকৃত হুজুরদের কাছ থেকে আরও বিস্তারিত জানবে।
তো আমরা যতটুকু জানি ততটুকু তোমাদের মাঝে শেয়ার করতেছি তোমরা আরেক ভাইকে শেয়ার করে দিয়ে সওয়াবের উদেশ্যে।
আমাদের দেশে জমি চাষ করা হয় ৪ টি মাধ্যমে।
১.জুমা জমি।
২.বন্ধুক জমি।
৩.লিস্ট বা সন করালি জমি।
৪.বর্গা জমি।
♥♥জুমা জমি♥♥
এই জমি মুলত কৃষক ভাইয়েরা টাকা দিয়ে অন্যের কাছ থেকে সারাজীবনের জন্য কিনে বা ক্রয় করে।
সেটায় হচ্ছে জুমা জমি। এটা ১০০% হারাল বা জায়েজ।
এই উপায়ে জমি চাষ করা কৃষক ভাইদের জন্য সুভাগ্যের বিষয়, কারন আমাদের দেশে সকল কৃষক ভাইদের পর্যপ্ত পরিমানে কৃষি জমি নেয়।
♥♥লিস্ট বা সন করালি জমি♥♥
এই উপায়ে কৃষক ভাইয়েরা জমির মেন বা মূল মালিকের কাছে থেকে ১ বছর বা ০৫ বছরের জন্য জমি টাকার বিনিময়ে লিস্ট বা সন করালি নেয়।
এবং যখন সময় শেষ হয় তখন কৃষক ভাইয়েরা জমি মূল মালিককে ফেরত দিয়ে দেয়।
এটাই হচ্ছে লিস্ট বা সন করালি জমি চাষ।
♥♥বর্গা জমি চাষ♥♥
এই উপায়ে কৃষক ভাইয়েরা মূলত কৃষক ভাইয়েরা জমির মেন বা মূল মালিকের কাছে থেকে জমি নিয়ে চাষ করে, "জমির মেন বা মূল মালিককে অর্ধেক বা ৩ ভাগের ০১ ভাগ ফসল দিয়ে থাকে জমির মেন বা মূল মালিকে।
এই উপায়ে কৃষি জমি চাষ করা কৃষক ভাইদের জন্য লজ হয়ে থাকে বেশির ভাগ সময়।
♥♥বন্ধুক জমি♥♥
এই উপায়ে কৃষক ভাইয়েরা জমির মেন বা মূল মালিকের কাছে থেকে টাকা দিয়ে জমি চাষ করে, আবার যখন জমির মেন বা মূল মালিকের ইচ্ছা হয় তখন সে ফুল টাকা ফেরত দিয়ে দেয় এটাই হচ্ছে বন্ধুক বা পচাঁনি জমি চাষ।
এই উপায়ে মূলত জমির মেন বা মূল মালিকেরা যখন বিপদে পরে তখন তারা টাকা খোঁজে কিন্তু তাদের কেউ হেল্প করে না বা হেল্প করার এ্যাবোলিটি আমাদের গ্রামের অন্য কৃষক ভাইদের সামথ্য সম্ভব থাকে না।
তখন জমির মেন বা মূল মালিক এক প্রকার টাকার জন্য বাধ্য হয়ে আরেক জন কৃষক ভাই জমি দেয় বিপদের সময় টাকা দিয়ে হেল্প করার জন্য।
একটা উদাহরণ দেখুন আমরা নিচে কিভাবে বন্ধুক বা পচাঁনি এক কৃষক ভাই আরেক কৃষক ভাই দেয়;☞
বাইল্যাচারা জমির ক্ষেত পচানি রাখলাম।
১ লক্ষ ২০০০০ হাজার টাকা দিয়ে ৬ কাঠা জমি পচানি রাখলাম।
তারিখঃ১৬ ডিসেম্বর ২০২১; সকালঃ৭ঃ০০ টার সময়ে।
জমির মালিক, মোঃসিরাজুল
গ্রামঃ তুগুলদিয়া
টাকা নিয়ার সময় সাথে সিরাজুল নানার ছোট ভাই ছিল।
এইভাবে এক কৃষক ভাই আরেক কৃষক ভাই কে তার জমি দেয় বন্ধুক বা পচাঁনি।
এই উপায়ে জমি জমি চাষ করা মূলত অনেকটা লাভবান তবে,
ইসলামের মতে, বন্ধুক বা পচাঁনি
জমি রাখা পুরাপুরি ভাবে জায়েজ নয়,। কারন বন্ধুক জমি যেই মালিকের কাছে থেকে আরেক কৃষক ভাইদের কাছে বিপদের সময় টাকার জন্য তয় বা দেয়।
এটা ইসলামিক মতে ঠিক নেয়। কারন এক ভাই তার বিপদের সময় টাকার জন্য তার নিজের জমি অন্যের কাছে দিয়ে টাকা নিবে। আবার ১ বছর বা ২ বছর পর আবার ❀ টাকা ফেরত দিবে মাঝখানে জমির মেন বা মূল মালিক কোনো ফসল পাবে না।
এটা ইসলাম সমর্থন করে না।কারন ইসলাম সমর্থন করে এক মুমিন মুসলমান ভাই বিপদে পরলে তাকে নিঃসত্ত্বে সাহায্য করা।
কিন্তু আমাদের দেশের কৃষক ভাইয়েরা যেহেতু অতটা বললোক বা ধনী না। সে কারনে ☆ তারা এতদিনের জন্য টাকা দিয়ে হেল্প করতে পারে না।
তাই আমাদের দেশের সরকারের উচিত সকল কৃষক ভাইদের কৃষি অনুদান দেওয়া।
আর তা যদি দেওয়া সম্ভব না হয়ে থাকে তাহলে দেশের সরকার কে উচিত বিনা সূদে কৃষক ভাইদের রিন বা টাকা দেওয়া।
যখন কৃষক ভাইদের জমি থেকে ফসল উঠবে তখন তারা এই রীন বা লোন পরিশোধ করবে এবং যেসব কৃষক ভাইয়েরা সময় মতো লোন পরিশোধ করতে পারবে না তাদের আরেক টু সময় বাড়িয়ে দেওয়া তবেই দেশে ইসলামিক ভাবে কৃষি জমি চাষ হবে দেশে কোনো না জায়েজ ভাবে জমি চাষ হবে না ইনশাআল্লাহ।
ভালো লাগলে পোস্ট টি বন্ধু দের মাঝে বেশি বেশি শেয়ার করো এবং আমাদের ওয়েব সাইট Extratechnically.com এ-র সাথেই থাকে।
0 Comments