বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
আসসালামু আলাইকুম আশা করি তোমরা সকলে আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছো ইনশাআল্লাহ। আমরাও তোমাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমাদের বিষয় হলো, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সে কত পেলে পাশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হলো আমাদের শিক্ষা জীবনের ৪র্থ অধ্যায়। আমরা প্রাইমারি জীবন, মাধ্যমিক, এবং উচ্চ মাধ্যমিক অথ্যৎ কলেজের গন্ডি পেরিয়ে আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে জীবনে পর্দারপন করি।
আমাদের এই জীবনে আমাদের ভবিষ্যতে ভালো ক্যারিয়ার সূচনা করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।
অনেকে ভাবে আরে ভাই কলেজ জীবনে কোন রকম টেনে টুনে পাশ করে যায়, "তার পরেই তো ভার্সিটিতে বন্ধু-বান্ধবের সাথে ঘুরে বেড়াতে পারবো। এটা ভাবলে কখনোই চলবে না, তুমি যত উপরের ক্লাসের দিকে উঠবে ততই তোমার লেখাপড়ার মান কঠিন হয়ে আসবে।
এটাই স্বাভাবিক," তুমি তো বড় হচ্ছো তাহলে লেখাপড়ার মান উপরের ক্লাসে উঠলে ছোট বা সহজ হবে কেন। একটু কঠিন অবশ্যই হবে তবে কোন ব্যাপার না তোমার ব্রেন ও সময়ের সাথে আপডেট হতে থাকবে তুমি এই কঠিন জিনিসই চেষ্টার মাধ্যমে সহজ করে তুলবে এটায়ই স্বাভাবিক।
তোমাদের স্যাররা বলে আরে তোরা এখন স্কুল লাইভে পড়াশোনা ভালো করে পড় কলেজে অনেক সময় পাবি বন্ধু-বান্ধবের সাথে আড্ডা দিতে পারবি তখন।
যখন কলেজ জীবনে পর্দারপন করো তখন কলেজের স্যাররা বলে আরে তোরা এখন ভালো করে পড়।
ভার্সিটি জীবনে অনেক টাইম পাবি তখন ঘুরাঘুরি করতে পারবি।
কিন্তু তুমি যখন ভার্সিটি বা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে উঠবে তখন দেখবে ওখানে ও পড়ালেখা করেই পাশ করতে হয় কোনে ফাকি দেয়ার সময় নেই এখানে ও ফাঁকি দিলে নিজেই ফাঁকি পড়তে হয়।
আসলে কোনো জীবনের পড়ালেখা সহজ নেয় তোমাদের স্যার তোমাদের ভালোর জন্য তোমাদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য এসব কথা বলে যাতে তুমি ভালো করে পড়াশোনা করো।
শিক্ষক দের সাথে সবসময় সদায় আচার-আচরণ করবে এবং তাদের দোয়া নিবে। তাহলে ভবিষ্যতে তুমি অনেক দূর পযন্ত এগিয়ে যেতে পারবে।
এখন আসা যাক মূল পয়েন্টে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সে মোট মার্ক ১০০
১০০ এর মধ্যে ৮০ হচ্ছে রিটেন্ট বা লেখা
এবং ২০ হচ্ছে ইনকোর্স
তোমাকে ৮০ মধ্যে ৩২ পেতে হবে কারন ৩২ পেলেই পাশ এবং ২০ এর মধ্যে ০৮ পেতে হবে।
তাহলে ৩২+০৮=৪০ মোট ৪০ পেতে হবে তাহলে তুমি পাশ করে যাবে।
আর যাদের প্রাকটিকাল বা ব্যাবহারিক আছে তাদের রিটেন্ট বা লেখা ৬০ থাকবে এবং ব্যাবহারিক ও ইনকোর্স মিলে আর ৪০ থাকবে।
৬০ মধ্যে পেতে হবে ৪০% তাহলে ৬০%৪০=২৪ নম্বর। এবং ইনকোজ নাম্বারের ৪০% তাহলে ২০%৪০=০৮ নাম্বার।
আরও ব্যাবহারিক ২০ এর মধ্যে ৪০% তাহলে ২০%৪০= ০৮ নাম্বার ।
তাহলে মোট পেতে হবে ১০০%৪০= ৪০ নাম্বার ।
তাহলে হিসাবে দ্বারাই লেখার ৬০ এর মধ্যে পেতে হবে ২৪ এবং ইনকোজ ২০ এর মধ্যে পেতে হবে ০৮ ও ব্যাবহারিক ২০ এর মধ্যে পেতে হবে ০৮ মোট =২৪+০৮+০৮=৪০ নাম্বার পেলে ১০০ নাম্বারের মধ্যে
তাহলে একজন শিক্ষার্থী পাশ করতে পারবে। ৪০ নাম্বারের কম পেলে সে শিক্ষার্থী আর পাশ করতে পারবে না। আর কেউ যদি ৬০ নাম্বারের মধ্যে ২৪ না পেয়ে ২৩ বা ২২ পায় তাহলেও সেই শিক্ষার্থী ঐ বিষয়ে ননইমপুমেন্ট বলে গন্য হবে ইনকোজ ও ব্যাবহারিক ২০ এর মধ্যে ০৮ এর কম পেলে ০৬-০৭ তাহলে ও সেই শিক্ষার্থী ঐ বিষয়ে পাশ করতে পারবে না।
তবে যেকোনো সময় এই নীতি বা নিয়ম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আপডেট করতে পারে।
পোস্ট টি সম্পর্কে আরও কিছু জানতে প্রয়োজন হলে কমেন্ট করো এবং পোস্ট পড়ে তুমি উপকৃত হলে তোমার সোস্যাল মিডিয়ায় বেশি বেশি বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দাও। আর এরকম আর গুরুত্ব পূর্ন আপডেট পেতেবিদ্যান ২৪ এর সাথেই থাকুন।
ভালো থাকবেন সবাই আজকে এই পযন্তই। অন্য একদিন আপনাদের মাঝে চলে আসবো ভিন্ন কোনো পোস্ট নিয়ে।
খোদা হাফেজ
ভিডিওঃ
আরও বিস্তারিত আসছে.......
ভিডিও বইয়ের তালিকা অর্নাস ১ম বর্ষঃ
0 Comments