বন্ধ হচ্ছে ভারত থেকে পেঁয়াজ
আমদানি, দাম বাড়ার আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।
ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে অনুমতি পত্র বা আইপি'র মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ বুধবার (১৫ মার্চ)। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) থেকে হিলিসহ দেশের সবকটি বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে। এ অবস্থায় দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাবার আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।
আমদানিকারকরা বলছেন, সরকার
পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পত্রের
সর্বশেষ সময়সীমা নির্ধারণ করেছিল ১৫ মার্চ পর্যন্ত। নতুন করে আইপি'র মেয়াদ না বাড়ানোর কারণে ১৫ মার্চ এর পর থেকে অর্থাৎ আগামীকাল বুধবার থেকে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে।
তাই এখন পেঁয়াজ আমদানির মেয়াদ নতুন করে বাড়াতে না পারলে অনেক দিনের জন্য পেয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে। তখন দেশে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাবে।
পেঁয়াজ আমদানিতে অনুমতি পত্র বা আইপি'র মেয়াদ নতুন করে না বাড়ানো গেলে দেশের সব বন্দর দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে। এতে করে শহর বাজারে পেঁয়াজের সরবর সঙ্কট সৃষ্টি হবে,
দাম উর্ধমুখী হয়ে উঠবে।
যেহেতু আর কয়েকদিন পরেই রমজান মাস শুরু হচ্ছে সামনে ইদ আসছে, তাই
কৃষক রা এখন আশা করছে দেশের অর্থনৈতিতে সব জিনিসের দাম বেড়ে গেছে কিন্তু বাংলাদেশের কৃষক দের কৃষি ফসলের দাম বাড়ে নাই,
তারা নায্যা দাবি করছে সব দ্রুব মূল জিনিসের দামের সাথে সমন্বয় করে তাদের কৃষি ফসলের দাম রাখতে বলছে। যাতে তারা সামসজ্য করে সব দ্রুব মূল ক্রয় করে কিনে খেতে পারে।
তাদের আগে কৃষি ফসল মাঠে উৎপাদন করতে যে খরচ হতো সকল জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারনে তাদের উৎপাদন খরচ ও এখন দিগুণ হয়ে গেছে।
যেমন তারা জানালো, তারা আগে ১ লিটার ডিজেল কিনতো ৬৪-৬৮ টাকায় তখন তাদের জমি চাষ করতে খরচ হতো প্রতি ৫২ শতাংশে সিজার মেশিন দিয়ে ৬০০-৭০০ টাকা।
এবং পাওয়ার টিলার দিয়ে খরচ হতো ৩০০-৪০০ টাকা।( প্রতি ৫২ শতাংশে)
কিন্তু এখন ডিজেল জ্বালিনি তেলের দাম ১১০-১১২ টাকা লিটার, " এখন খরচ হচ্ছে সিজার মেশিনের চাষে ১৫০০-২০০০ টাকা। প্রতি ৫২ শতাংশে
এবং পাওয়ার টিলারের চাষে ১০০০-১২০০ টাকা লাগতেছে প্রতি ৫২ শতাংশে।
এখন খরচ দিগুণের বেশি হয়ে যাচ্ছে, আবার রাশিয়া -ইউক্রেন থেকে কৃষি সার আসা ও বন্ধ আছে, সারের দাম বেড়ে গেছে,।
আগে প্রতি কেজি ইউরিয়া সারের দাম ছিলো ১৪-১৬ টাকা কেজি। তা এখন বেড়ে গিয়ে ২২-২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আগে ৫০ কেজি ইউরিয়া বা সাদা সারের দাম ছিলো ৭০০-৮০০ টাকা বস্তুা ছিলো।
যার দাম বেড়ে এখন ১১৫০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বস্তুা প্রতি।
টিএসসি বা পটাস বা গ্রামের ভাষায় বলে লাল সার যার দাম ছিলো আগে প্রতি কেজি ১৪-১৫ টাকা। এখন, দাম ২২-২৫ টাকা কেজি চলতেছে এমন, ১২০০-১২৫০ টাকা ৫০ কিজি।
ইত্যাদি আরও যা সার আছে সব কিছুর দাম বাড়ছে। তাই নিত্য প্রয়োজনীয় সব কিছু দামের পাশাপাশি ফসলের দাম ও বৃদ্ধি দাবি করছে।
যেহেতু আর কয়েকদিন পরেই শুরু হচ্ছে রমজান মাস এ সময়ে দেশে পেঁয়াজের চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে পেঁয়াজ আমদানির আইপি'র মেয়াদ বাড়িয়ে দেয়ার পরামর্শ বন্দরের আমদানিকারকদের।
0 Comments