তাহাজ্জুদের নামাজ কিভাবে পড়তে হয়,How to perform Tahajjud prayers.

তাহাজ্জতের নামাজ কিভাবে পড়ে


বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


আসসালামু আলাইকুম প্রিয় ব্লগার ভিজিটর ভাই ও বোনেরা আশা করি আপনারা সকলেই মহান আল্লাহু তাআলা অশেষ রহমতে ভালো আছেন। ইনশাআল্লাহ আপনাদের দোয়ায় আমরা ও অনেক ভালো আছি।

আজকে আমরা সকলেই একটা গুরুত্বপূর্ণ আমল সম্পর্কে জানবো।

আজকের বিষয় হচ্ছে কিভাবে সুন্দর উপায়ে সালা তুল তাহাজ্জুদ  আদায় করতে হয় সেই সম্পর্কে। 


টেক্সট.সালাতুল তাহাজ্জুদ হলো একটা গুরুত্বপূর্ণ নফল ইবাদত। এটি মুসলমানদের ইবাদতের মধ্যে একটি শেষ্ঠ ইবাদত যা পালন করলে খুবই সওয়াব পাওয়া যায় এবং আল্লাহ তায়ালা খুব খুশি  হন। আর আমরা মুসলমানরাইতো আল্লাহ তায়ালা এমন সবাই ইবাদত করতে যা দেখে আল্লাহুতাআলা খুশি হন।


এই নামাজ প্রধানত মাঝ রাতের পর থেকে শেষ রাত অর্থ্যৎ ফজরের নামাজের আযানের আগ পর্যন্ত পড়া যায়।তবে রাতের দ্বিতীয় প্রহরে (২টা-৩টা)  পড়া উত্তম। এই নামাজের মাধ্যমে আল্লাহু তাআলা সান্নিধ্যে লাভ করা যায়। আর যে ব্যাক্তি আল্লাহু তাআলা সান্নিধ্যে লাভ করবে সেইতো সফলকাম হয়ে যাবেন।


 তাই আমরা সকলে এই নামাজ নিজে পড়বো এবং অপরকে পড়তে উৎসাহ দিবো। নিজেদের মধ্যে সৎ কাজের প্রতিযোগিতা করব।এভাবে একে একে আল্লাহু তাআলার সকল আমল আমরা করবো।


 আল্লাহু তাআলার হুকুম ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নাত আমরা সকলে আদায় করবো। এভাবেই আমাদের আমলের পাল্লা ভারি করবো এবং পরকালে আল্লাহুতাআলার নৈকথ্য লাভ করবো। 


সালাতুল তাহাজ্জুদতের নিয়তঃ 


আমরা সকলে সর্বদা বাংলা নিয়ত করব। কেননা বাংলা নিয়ত করলে কোনো ভুল হবার সম্ভাবনা থাকে না।আরবি নিয়ত ভুল হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে, তবে যারা শুদ্ধ রুপে আরবি নিয়ত পারবে তারা করবে।


কারন আরবিভাবে নিয়ত পারা উত্তম।


নিয়তঃআমি কিবলা মুখি হইয়া ২ রাকাত তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তেছি আল্লাহু আকবার। 


♦এখন সানা পড়তে হবে, 

সানাঃ সুবাহানাকাল্লল হুমমা অবির্হাম দিকা,অতাবা রকাজ মুকা অতা অ্যালা যাদদুকা অলা ইলাহা গইরুক।


♦এখন সূরা ফাতিহা ও অন্য একটি সূরা মিলাইয়া পড়তে হবে। ১ম এ সূরা ফাতিহার সাথে সূরা ইর্খলাস (কুলহু আল্লাহু আহাদ) পড়তে হবে। 


♦এখন রুকুতে আল্লাহু

 আকবর বলে যেতে হবে। এবং রুকুতে থাকা অবস্থায় কম পক্ষে ৩ বার সুবা হানা রব্বি অ্যাল আজিম বলতে হবে।


 ৩,৫,৭ বার ও বলা যাবে সমস্যা নাই যত বার বলবে তত বেশি সওয়াব হবে।তবে ৩ থেকে ৭ বারের মধ্যেই বললে ভালো হয়ে।

♦এখন রব্বানা লাকাল হার্ম বলে উঠে দাঁড়িয়ে সিজদাহ্তে আল্লাহু আকবার বলে যাওয়া।


 সিজদাহ্তে ও কম পক্ষে ৩ বার সুবানা রব্বি অ্যাল অ্যালা বলতে হবে। এখানে ও ৩-৫-৭বার বলা যাবে।


♦এখন সিজদাহ্ থেকে আল্লাহু আকবার বলে উঠে দাঁড়িয়ে আবার সূরা ফাতিহা ও কাউসার সূরা(ইন্না অ্যা তাইনা কাল কাউসার) পড়তে হবে।


 তার পরে আবার রুকেতে আল্লাহু আকবার বলে যেয়ে কম পক্ষে ৩ বার সুবা হানা রব্বি অ্যাল আজিম বলবে। আবার রব্বা না লাকাল হার্ম বলে উঠে দাঁড়িয়ে সিজদাহ্তে আল্লাহু আকবর বলে যেতে হবে।


 সিজদাহ্তে কম পক্ষে ৩বার সুবা হানা রব্বি অ্যাল অ্যালা বলবে। 


♦এখন আত্তাহিয়াতু পড়তে হবে, 


আত্তাহিয়াতুঃ আত্তাহিয়্যাতু  লিল্লাহি ওয়াস্ সালাওয়াতু,ওয়াত্ তাইয়িবাত। আস্সালামু আলাইকা আইয়্যুহান নাবীয়্য ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।


 আস্সালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস্ সালিহীন। আশহাদু আল-লা-ইলাহা ইল্লাল্লাল্হু ওয়া আশ্হাদু আননা মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।


♦এখন দুরুদ পড়তে হবে, 

দুরুদঃ আল্লাহুমা সল্লি 'আলা মুহাম্মাদিওঁ ওয়া 'আলা আলি মুহাম্মাদ। কামা সল্লাইতা 'আলা ইবরাহীমা ওয়া 'আলা আলি ইবরাহীম ইন্নাকা হামীদুম মাজেদ।


দোয়ায় মাছুরা পড়তে হবে, 

দোয়া মাছুরাঃ

আল্লাহুম্মা ইন্নী যলামতু নাফসী জুলমান কাসীরা।ওয়ালা ইয়াগফিরুজ জুনুবা ইল্লা আন্তা ফাগফিরলী মাগফিরাতাম। মিন ইন্দিকা ওয়ারহামনী ইন্নাকা গফুরুর রহিম।


♦এখন ডানে ও বামে সালাম ফিরাইতে হবে।


উপসংহারঃ ইনশাআল্লাহ এভাবে নিয়ম ফলো করে সালা তুল তাহাজ্জুদ পড়বে।

আশা করি আমার মূল্যবান তথ্য ঢেলে দিলাম, আপনাদের ও মূল্যবান কমেন্ট ঢেলে দিয়েন। জাস্ট, উপায় আমার চেষ্টা আপনার। 

Post a Comment

1 Comments

  1. ভালো লাগলো আমল টি পড়ে

    ReplyDelete