কম পড়ে বেশি নম্বর কিভাবে পাওয়া যায় [How to make a good result for SSC, HSC etc]



বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


আসসালামু আলাইকুম ব্লগ ভিজিটর ভাইয়েরা।আশা করি আপনারা পরম করুণাময় মহান রাব্বুল আলামিনের রহমতে সকলেই ভালো আছেন, এজন্য অন্তরের অন্তর স্থল থেকে সকলেই বলি আলহামদুলিল্লাহ।



আজ আমরা সকলে জানবো কিভাবে কম পড়ে বেশি নম্বর পাওয়া যায় তার কিছু গুরুত্বপূর্ণ টির্পস সম্পর্কে।

যেমন,


ভালো রেজাল্ট


লেখার নিয়মানুবর্তিতা


সৃজনশীলতা


লেখার কৌশল


আত্মবিশ্বাস ও আত্ননির্ভরশীলতা


ভ্যাত্ন ধারণা


সহানুভূতি


ভালো রেজাল্টঃ


মুখ দিয়ে শুধুই বললেই হবে না যে আমি পরিক্ষায় ভালো ফলাফল করবো। আসলেই ভালো ফলাফল করতে হলে আগে নিজেকে একজন সফল পড়ুয়া শিক্ষার্থী হতে হবে। পড়ুয়া শিক্ষার্থী হওয়া কোনো কঠিন কোনো ব্যাপার না শুধু একটুখানি ধারাবাহিক হতে হয়।


 ধারাবাহিক যেই শিক্ষার্থী পড়ালেখা চালিয়ে যায় তার কাছে ভালো রেজাল্ট করা কোনো ব্যাপারই না।শুধু তার নিজের উপর কনফিডেন্স থাকলেই সে ভালো রেজাল্ট বা ভালো ফলাফল করতে পারে। পড়ালেখা করা কোনো কঠিন কাজ না।কিন্তুু মেইন কাজ হলো তার ধৈর্য্যধারন করা।ধৈর্য্যধারন করে টিকে থাকা কঠিন ব্যাপার।


 তবে মানুষ চেষ্টা করলে তাদের অভ্যাষে পরিনত করলে কঠিন কোনো ব্যাপারই না। প্রতিযোগিতা করে টিকে থেকে ভালো কিছু করাকে মহান আল্লাহুতাআলা খুব পছন্দ করেন। so আমরা সকলে একেঅন্যের সাথে ভালো কাজের প্রতিযোগিতা করবো।




লেখার নিয়মানুবর্তিতাঃ


প্রত্যেকটা জিনিসের একটা নিয়ম আছে।তেমনিভাবে  লেখাপড়ায় লেখার ও কিছু নিয়ম আছে।



♦পরিক্ষার খাতায় খুব সুন্দর গোছালো উপায়ে লিখবে। তবে খেয়াল রাখবে যেন খাতায় কাটা-ছেড়া না হয়। কারন, যখন টির্সাররা exam খাতা দেখে তখন তাদের সামনে কাটাছেঁড়া খাতা আসলে কাটাছিড়া দেখে তাদের খুব খারাপ লাগে, তখন তারা সঠিক নম্বর দেয় না।



♦বাংলা লেখা সব সময়ে বাম পাশ থেকে শুরু করতে হয়। তাই লেখা সুন্দর করার জন্য খাতার বামও উপরের দিকে ১ স্কেল পরিমাণ মার্জিন টানতে হবে। এবং ডান দিকে সামান্য পরিমাণে মার্জিন টানতে হবে যেন দেখতে বেশ সুন্দর দেখায়,নিচের দিকে একটা পুনাঙ্গ প্রশ্নের উত্তর শেষ করে মার্জিন টানতে হবে। 


যেমন, -০-


সৃজনশীলতাঃ



সৃ মানে সৃষ্টি আর শীলতা মানে নতুন কিছু। তার মানে নতুন কিছু সৃষ্টি করাকে সৃজনশীলতা বলে।

যে শিক্ষার্থী তার লেখার মাঝে নতুন কিছু ফুটিয়ে তুলতে পারবে সেই শিক্ষার্থীই সবাই চেয়ে বেশি নম্বর ও সফলতা পাবে। সৃজনশীলতা হলো নতুন কিছু সৃষ্টি করা। যা কোনো মুখস্থ লেখাপড়ার মাঝে সীমাবদ্ধ নয়। এ-ই পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকশিত হয়।

 তার মনের মাধুরি মিশিয়ে সে লিখে এ-ই প্রক্রিয়ায়। সৃজনশীল ভাবে যে তার জীবনকে সকলের মাঝে তুলে ধরতে পারে সেইত প্রকৃত অর্থের মানুষ। তাই আমরা সর্বদা সৃজনশীলতা অবলম্বন করবো।


লেখার কৌশলঃ


আমরা যারা বেশি নম্বর পাওয়ার আশা করবো তাদের কিছুটা extra স্পেশাল নিয়মে খাতায় লিখলে হবে।স্পেশাল বলতে তেমন কঠিন কোনো বিষয় না। জাস্ট প্রত্যেকটা প্রশ্নের উত্তর দিয়ার সময় প্রশ্ন গুলো কে উত্তরে রুপান্তরিত করার সময় সুসজ্জিত ভাবে, ধাপে ধাপে উত্তর করতে হবে।



♦ক.নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নর জন্য সাধারণ জ্ঞান এক কথায় উত্তর দিতে হবে।


♦খ.নম্বর প্রশ্নের উত্তর অনুধাবন মূলক দুটি ভাগে উত্তর করতে হবে। প্রত্যেক ভাগের জন্য ১ নম্বর মোট ২ নম্বর পাওয়া যাবে। প্রথম ভাগ জ্ঞানমূলক ও ২য় ভাগ অনুধাবন মূলক। জ্ঞান মূলক হলো একটা কথায় উত্তর আর অনুধাবন হলো ঐ বিষয়ের সাথে মিল রেখে ঐ সম্পর্কে লেখা। 

খ.নম্বর প্রশ্নে উত্তর ২ খন্ডে দিতে হবে তাহলে ২ পাওয়া যাবে।




♦গ.নম্বর প্রশ্নের জন্য তিন ভাবে বিভক্ত করে উত্তর দিতে হবে। প্রত্যেক ভাগের জন্য ১ নম্বর মোট ৩ নম্বর পাওয়া যাবে।  ১ম ভাগ জ্ঞান মূলক, ২য় ভাগ অনুধাবন, ৩য় ভাগ প্রয়োগ। প্রয়োগ হলো প্রশ্নের সাথে সাম্যোযার্শ রেখে উত্তর করা। জ্ঞান ও অনুধাবনের আলোকে প্রয়োগ করা। গ.নম্বর প্রশ্নে উত্তর তিন খন্ডে দিতে হবে তাহলে ৩ নম্বর পাওয়া যাবে।



♦ঘ.প্রশ্নকে ৪ ভাগে বিভক্ত করে উত্তর দিতে হবে। চার ভাগের জন্য ৪ নম্বর পাওয়া যাবে।  ১ম ভাগ জ্ঞান মূলক, ২য় ভাগ অনুধাবন মূলক, ৩য় ভাগ প্রয়োগ মূলক,৪র্থ ভাগ উচ্চতর ও দক্ষতা। উচ্চতর ও দক্ষতা হলো অনুধাবন ও প্রয়োগের আলোকে মিল রেখে উত্তর করা।


 ঘ.নম্বর প্রশ্নে উত্তর চার খন্ডে দিতে হবে তাহলে চার নম্বর পাওয়া যাবে।




আত্মবিশ্বাস ও আত্মনির্ভরশীলতাঃ


আত্ন অর্থ নিজ আর বিশ্বাস অর্থ আস্তা। নিজের উপর কনফিডেন্স কে আত্মবিশ্বাস বলে। অপরদিকে আত্মনির্ভরশীলতা হলো নিজের উপর নির্ভার থাকা।যার নিজের উপর কনফিডেন্স আছে যে আমি এবার পরিক্ষায় A+ পাবো। এবং সেই কনফিডেন্সে পড়ালেখা করে  তখন সে যদি ও A+ না পায় কিন্তুু দেখা যায় যে তার রেজাল্ট A+ এ-র কাছাকাছি চলে আসে। এটাই হলো আত্মবিশ্বাস।



অপরদিকে আত্মনির্ভরশীলতা হলো নিজের উপর নির্ভারশীলতা। যেমন ধর আমি পরিক্ষায় এ-ই প্রশ্নের উত্তর টা অবশ্যই পারবো কোনো কনফিউশান নাই।  এটা হলো আত্মনির্ভরশীলতা।



ভ্যান্ত ধারণাঃ


অনেক শিক্ষার্থী ভাইয়েরা ভাবে  আমি প্রাথমিক ও ম্যার্ধমিকে ভালো করে পড়ি নাই তাই আমি অনেক পিছিয়ে পড়েছি,এখনতো আমার আর কখনো ভালো ফলাফল করতে পারবো না। এটা কখনো ভাবা যাবে না। কারণ, মানুষ পারে না এমন কিছু পৃথিবীতে নেই, কারণ মানুষ অভ্যাসের দাস।


সহানুভূতিঃ


আমাদের প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের একে অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে। নিজেদের কখনো ভেজাল করা যাবে না,বন্ধুসূলভ আচরণ করতে হবে। এবং কখনো ভাবা যাবে না যে আমি বেশি পাড়ি আর কম পাড়ে তাই ওপর সাথে ভালো ব্যাবহার করা যাবে না, ওকে সব সময়ে ইর্নসাট অবহেলা করতে হবে। এটা যে ভাববে তার ভবিষ্যত নষ্ট হয়ে যাবে কারন এমন লোককে আল্লাহু তাআলা পছন্দ করেন না।



তাই আমাদের সকলকে একে অন্যের সাথে ভালো ব্যাবহার করতে হবে। তাহলে আল্লাহতা'আলাও আমাদের ভালো বাসবেন।



তাই পরিশেষে বলা যায় যে,


ভালো শিক্ষার্থী হওয়া সহজ, কিন্তুু আর্দশ শিক্ষার্থী হওয়া অতো টা সহজ নয়।





Post a Comment

0 Comments